রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে? রেজিস্ট্যান্স কত প্রকার ও কি কি? রেজিস্ট্যান্স এর প্রতীক ও একক। রেজিস্ট্যান্স এর প্রকারভেদ। রেজিস্ট্যান্স এর প্রধান কাজ কী? রেজিস্ট্যান্স সার্কিটে সংযোগ পদ্ধতি? What is a Resistor.

রেজিস্ট্যান্সঃ

রেজিস্ট্যান্স একটি ইংরেজি শব্দ,যার বাংলা অর্থ হচ্ছে রোধক। যা দুই প্রান্ত বিশিষ্ট একটি প্যাসিভ ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস। রোধ নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এটা বাধা প্রধানকারী একটা ডিভাইস। পরিবাহির মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধা প্রধানকারী ডিভাইস কে রেজিস্টর বলে।



রেজিস্ট্যান্স কাকে বলেঃ

যে পরিবাহির বৈশিষ্ট্যর কারনে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।



রেজিস্ট্যান্স এর প্রকাশ , প্রতীক ও এককঃ

রেজিস্ট্যান্স এর রোধকে R দিয়ে প্রকাশ করে হয়ে থাকে। এর একক ওহম (Ω) ।



রেজিস্ট্যান্স এর প্রকারভেদঃ

রেজিস্ট্যান্স কে মুলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

১) ফিক্সড রেজিস্ট্যান্স। 

২) ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স। 


রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে? রেজিস্ট্যান্স কত প্রকার ও কি কি? রেজিস্ট্যান্স এর প্রতীক ও একক। রেজিস্ট্যান্স এর প্রকারভেদ। রেজিস্ট্যান্স এর প্রধান কাজ কী? রেজিস্ট্যান্স সার্কিটে সংযোগ পদ্ধতি? What is a Resistor.


ফিক্সড রেজিস্ট্যান্স ৯ প্রকারঃ

১) কার্বন কম্পোজিট।

২) কার্বন পাইল।

৩) কার্বন ফিল্ম।

৪) প্রিন্টেড কার্বন।

৫) থিক এবং ফিল্ম।

৬)মেটাল ফিল্ড।

৭)মেটাল অক্সাইড ফিল্ড।

৮) ওয়্যার উন্ড।

৯) ফয়েল।



ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স ৩ প্রকারঃ

১) এডজাস্টেবল।

২) পটেনশিওমিটার।

৩) রেজিস্ট্যান্স ডিকেড বক্স।



ফিক্সড রেজিস্ট্যান্স কাকে বলেঃ

যে রেজিস্ট্যান্স এর মান ফিক্সড থাকে বা যে রেজিস্ট্যান্স এর মান তৈরির সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং যার মান পরিবর্তন করা সম্ভব না তাকে ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল রেজিস্ট্যান্স বলে।



ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্সঃ

যে রেজিস্ট্যান্স এর মান প্রয়োজন অনুসারে কমানো-বাড়ানো সম্ভব তাকে ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স বা পরিবর্তনশীল রেজিস্ট্যান্স বলা হয়।




রেজিস্ট্যান্স এর কাজঃ

সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহর সময় বাধা প্রধান করা বা ভোল্টেজ ড্রপ ঘটানো রেজিস্ট্যান্স এর প্রধান কাজ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন সার্কিটে বা কোন পার্টসকে কম ভোল্ট বা কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রধান করার প্রয়োজন পরে।

তাহলে একটি উধাহরন এর মাধ্যমে বলি, ধরুন একটা সার্কিটে LED আছে ( লাইট ইমেটিং ডায়োড ) যার ভোল্টেজ রেঞ্জ 1.5 থেকে 3 ভোল্ট। কোন কারনে যদি সোর্স ভোল্টেজ 3 ভোল্টের চেয়ে বেশি চলে আসে তখন কম্পোনেন্ট (LED ) টি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এটি যাতে না ঘটে সে জন্য রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়। রেজিস্ট্যান্স LED ক্ষেত্রে 3 ভোল্টের বেশি ভোল্টেজ কে ড্রপ করে দিবে। রেজিস্টর প্রয়োজন মোতাবেক কারেন্ট ও ভোল্টেজ সরবরাহ করে থাকে।

এটি শুধুমাত্র একটি LED ক্ষেত্রে উদাহরণ । রেজিস্ট্যান্স মূলত সকল ক্ষেত্রে এই ধরনের কাজ করে থাকে।




রেজিস্ট্যান্স সার্কিট এ সংযোগ পদ্ধতিঃ

সিরিজ সার্কিটে সংযোগঃ

সিরিজ একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হলো ধারাবাহিকভাবে। তাহলে এই ক্ষেত্রে একাধিক লোড (রেজিস্ট্যান্স) একের পর এক বৈদ্যুতিক সোর্সের সাথে সংযুক্ত করে কারেন্ট প্রবাহের একটি পথ তৈরি করে।



প্যারালাল সার্কিটে সংযোগ:-

একাধিক লোড (রেজিস্ট্যান্স) বৈদ্যুতিক উৎসের সাথে আড়া -আড়ি ভাবে যুক্ত করা হয়। যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ থাকে।



রেজিস্ট্যান্স নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আপনাদেরকে অনুরোধ রইলো কমেন্ট করার জন্য। 


ধন্যবাদ। 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url