সাবস্টেশনে পাথর ব্যবহার করা হয় কেন - সাবস্টেশনে ডিসি ভোল্টেজ কেন ব্যবহার করা হয়। Substation
পাথর ব্যাবহারের অনেক গুলো কারনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কারন হলো Earth Potential Rise (EPR) কমানো যায় এবং টাচ পটেনশিয়াল ও স্টেপ পটেনশিয়াল লিমিট কমানো যায় পাথর ব্যাবহার করে। তাছাড়াও পাথর থাকলে সাব-স্টেশনের গ্রাউন্ড ঠান্ডা থাকে, বৃষ্টির পানি জমতে পারেনা। সাপ, ব্যাঙ্গ, ইদুর জাতীয় প্রানীর কারনে অনেক সময় শর্ট সার্কিট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সাব স্টেশনে পাথর ব্যবহার করলে এই সকল প্রানী চলাচল করতে পারে না।
আইসোলেটর কি?
বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিশেষ করে ট্রান্সফরমারকে নো-লোড অবস্থায় বা সামান্য লোড অবস্থায় লাইন হতে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আইসোলেটর ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আইসোলেটর এক ধরনের সুইস, যা অফলাইনে অপারেটিং করা হয়।
সাবস্টেশনে ডিসি ভোল্টেজ কেন ব্যবহার করা হয়:-
উত্তরঃ সাবস্টেশনের নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানোর জন্যে এবং ব্যাকআপ হিসেবে রান করা জন্যে ডিসি ভোল্টেজ ব্যবহার করা হয়।
যখন বড় ধরনের দুর্যোগ সংঘটিত হয়, তখন সাবস্টেশনে এসি সাপ্লাই বিঘ্নিত হতে পারে, কিন্তু তখনও তো আমাদের প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট গুলো চালু রাখতে হবে, নাহলে বিশালআকারের ক্ষতি হতে পারে।
এজন্যেই, এসি সাপ্লাই ব্যহৃত হলেও প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট গুলো নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চালানোর জন্যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।
সাবস্টেশনের লোডের উপর নির্ভর করে, ২৪,৪৮,১১০ভোল্টের ডিসি ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।
১) সাবস্টেশানে ডিসি সাপ্লাই ব্যবহৃত হয়ঃ 125V, 110V, 48V; ১২৫ ভোল্ট এবং ১১০ভোল্ট ব্যবহৃত হয় কন্ট্রোল সিস্টেমে। ৪৮ভোল্ট ব্যবহৃত হয় কমিউনিকেশন সিস্টেমে।
২) সিটির সেকেন্ডারি কারেন্ট 5A or 1A থাকে। প্রতিটি সিটিতে একাধিক কোর (টারমিনাল/কন্ডাকটর) থাকে। কোরগুলো প্রটেকশন এবং মিটারিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়। অর্থ্যাৎ একটি সিটি দিয়েই কারেন্ট, পাওয়ার, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদি পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রটেকশনের জন্য রিলেতে সংযোগ দেয়া হয়।
৩) পিটির সেকেন্ডারি ভোল্টেজ সাধারণত ১১০ভোল্ট হয়ে থাকে। ডিস্ট্যান্স রিলে, রিভার্স পাওয়ার রিলেতে পিটির সংযোগ দিতে হয়। পিটির মিটারিং কোর ভোল্টেজ, পাওয়ার, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদি পরিমাপ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
৪) 25/41MVA ট্রান্সফরমার বলতে বুঝায়ঃ কুলিং সিস্টেম চালু করা ব্যতিত ট্রান্সফরমারটি 25MVA লোড দিতে পারবে। Cooling System চালু করলে সর্বোচ্চ 41MVA লোড সরবরাহ করতে পারবে।
৫) সাবস্টেশান টু সাবস্টেশান যোগাযোগের জন্যঃ Optical Fibre এবং PLCC কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। ট্রান্সমিশন লাইনের সবার উপরে সিঙ্গেল কন্ডাকটরটিকে Optical Fibre Ground Wire বলা হয়। এই কন্ডাকটরের ভিতরে অপটিক্যাল ফাইবার থাকে।
৬) ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইন আলাদা করার উপায় হচ্ছেঃ পোলের গঠন, কন্ডাক্টরের দুরত্ব, ইনসুলেটর ডিস্ক সংখ্যা এবং কন্ডাকটর সাইজ দেখা। সাবস্টেশানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
৭) সাবস্টেশানের হার্ট, বলা হয় ডিসি সিস্টেমকে। পাওয়ার সিস্টেমের অতন্দ্র প্রহরী/মস্তিষ্ক বলা হয় রিলেকে।
৮) সাবস্টেশানে পাথর ব্যবহৃত কেনঃ পিচ্ছিল হওয়া প্রতিরোধ করতে, স্টেপ সাইজ ভোল্টেজ বাড়াতে, ক্ষুদ্র প্রাণীর চলাচল বিঘ্ন ঘটাতে, সহজে গ্রাউন্ডিং পরিবর্তন করার সুবিধার্তে।
৯) সাবস্টেশানে সবচেয়ে দামী ইকুয়েপমেন্ট হচ্ছেঃ ট্রান্সফরমার। যেকোন সাবস্টেশানে অবশ্যই বাসবার থাকে। সুইচিং সাবস্টেশানে ট্রান্সফরমার থাকে না।
১০) সাবস্টেশানের প্রধান কাজ হচ্ছেঃ ইলেক্ট্রিক্যাল যেকোন রাশিকে পরিবর্তন করে সরবরাহ করা। তবে সুইচিং সাবস্টেশান কারেন্ট/ভোল্টেজ/ফ্রিকুয়েন্সী/পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদি পরিবর্তন করে না।
১১) দূর থেকে সাবস্টেশান, ইলেক্ট্রিক্যাল লোড এবং বিভিন্ন ডিভাইসকে কন্ট্রোল করার পদ্ধতি হচ্ছে,
SCADA...। বাংলাদেশে SCADA ব্যবহৃত হয়, সাবস্টেশান দুর-নিয়ন্ত্রণের কাজে।
১২) সাবস্টেশানের ইকুয়েপমেন্ট: Busbar, CT, PT, Lightening Arrestor, Groundling Switch, Disconnector Switch, Circuit Breaker, Transformer, Control Panel, Relay Panel, DC System.
Substation DC Voltages
ধন্যবাদ,
সাথেই থাকুন।