বর্তমান জীবনে বিদ্যুৎ ছাড়া কল্পনা করা যায় না ।আধুনিক সভ্যতার প্রায় সকল আবিষ্কার ও প্রযুক্তির মূলে রয়েছে এই বিদ্যুৎ। কিন্তু আমরা অনেকেই বিদ্যুৎ সমন্ধে জানি না। আজকে এই নিবন্ধে বিদ্যুৎ সমন্ধে বেসিক আলোচনা করা হলো:-
বিদ্যুৎ কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিবাহির মধ্যে দিয়ে ইলেক্ট্রন প্রবাহের ফলে যে শক্তি সৃস্টি হয় তাকে বিদ্যুৎ বলে।
বিদ্যুৎ কি কি ও কত প্রকার?
উওরঃ বিদ্যুৎ দুই প্রকার।
(১) স্থির বিদ্যুৎ।
(২) চল বিদ্যুৎ।
স্থির বিদ্যুৎ কাকে বলে?
উওরঃ বৈদ্যুতিক চার্জ যখন উৎপত্তিস্থলেই আটকে থাকে ও চলাচল করতে পারে না তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে।
চল বিদ্যুৎ কাকে বলে?
উত্তরঃ চার্জ গুলো পরিবাহির মধ্য দিয়ে অনবরত নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে গিয়ে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি করে তাকে চল বিদ্যুৎ বলে।
বিদ্যুৎ এর একক?
তড়িৎ প্রবাহের এসআই একক হলো অ্যাম্পিয়ার। প্রতি সেকেন্ডে এক কুলম্ব পরিমাণ আধান কোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে তাকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে।
বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ
যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে অর্থাৎ-বিদ্যুৎ প্রবাহে কোন বাঁধা পায় না তাকে পরিবাহী বলে।
পরিবাহী তিন প্রকার যথা:-
1.Good Conductor(সু-পরিবাহী): যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজেই বিদ্যুৎ পরিবাহী হতে পারে তাকে সু-পরিবাহী বলে। পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ১,২,৩ টি থাকে। যেমন:-তামা, সোনা, রূপা, এলোমোনিয়াম, দস্তা, পিতল, নিকেল, সীসা, রাং, প্লাটিনাম, ফসফর ব্রোঞ্জ, পারদ ইত্যাদি।
2.Semi Conductor(অর্ধ-পরিবাহী):যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় আংশিক ভাবে বাধাঁ প্রাপ্ত হয় Semi conductor বলে।পরমাণুর শেষ ক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি থাকে। যেমন:-কার্বন, সিলিকন, মাইকা, কয়লা, জার্মেনিয়াম, বিজা মাটি, বিজা বাঁশ ইত্যাদি।
3.Insulator(কু-পরিবাহী):যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদুৎ প্রবাহিত হতে পারেনা তাকে Insulator বলে। পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ৫,৬,৭ টি থাকে।য়েমন:- ব্যকেলাইট, এসবেসটস, মার্বেল, পাথর, রাবার, চিনামাটি, তুলা, শুকনো কাগজ, শুকনো বাঁশ ইত্যাদি।
আমাদের সাথে থাকার জন্য,
আপনাকে ধন্যবাদ।
